আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন উদ্বোধন শেষে দলের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্বোধন শেষে সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
এরপর শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ওবায়দুল কাদের। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোটের শরিক দলের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত আছেন।
এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ২১ হাজার কাউন্সিলর ও প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বসবে কাউন্সিল অধিবেশন। শুরুতে বর্তমান নির্বাহী কমিটির মুলতবি বৈঠক। এরপর নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন মঞ্চে আসবে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা মঞ্চ থেকে নেমে সামনের আসনে বসবেন। এরপর শুরু হবে নেতা নির্বাচন। সাধারণত আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হয় আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে। এবারও সেভাবেই হবে বলে দলের নেতারা মনে করছেন।
সম্মেলন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে আসতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে—‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।