খেলা হবে আবারও, নির্বাচনে, আন্দোলনে: কাদের  

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক লাইভ থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগুনসন্ত্রাস মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। ভোট চুরি, দুর্নীতি, ভোট জালিয়াতি, লুটপাট, অর্থপাচার, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে, আবারও হবে,  নির্বাচনে  হবে, আন্দোলনে  হবে।’

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা হিংসায় জ্বলে, মনে বড় জ্বালা, বড়ই অন্তরজ্বালা, পদ্মা সেতু করে ফেললেন, মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। এই জ্বালা আর সইতে পারে না। তিনি বলেন,  প্রতিপক্ষরা জানে যে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না।  তাই সরকার হটাবে। শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলে ময়ূর সিংহাসন পাবে বলে ভাবছেন তাঁরা। কিন্তু তা পাবে না। ১০ ডিসেম্বর পারেনি, অশ্বডিম্ব পেয়েছে। ৩০ তারিখেও ঘোড়ায় ডিম পাবে ।

সাম্প্রদায়িকতা, আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে বলেন তিনি। দেশের উন্নয়ন অর্জন করতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে বলে জানান।

আওয়ামী লীগের এই ২২তম সম্মেলন স্মরণাতীতকালের বৃহত্তম সম্মেলন বলে মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি সমাবেশ, সম্মেলন হয়েছে বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বক্তব্যে দেওয়ার সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

বক্তব্যের একপর্যায়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,  বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছেন এবং দায়মুক্তি দিয়েছেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ১৩  নভেম্বরের  মাস্টারমাইন্ড জিয়া, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তাঁর সন্তান তারেক রহমান। যিনি মুচলেকা দিয়ে চলে গেছেন রাজনীতি করবেন না বলে। এসব ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।

ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান করেন। গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে সৎ রাজনীতিক ও জনপ্রিয় নেতা তিনি। দুনিয়ার কাছে দেশের সামর্থ্য ও সক্ষমতা তুলে ধরেছেন তিনি।