ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আলেম–ওলামা জড়ো হন
ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আলেম–ওলামা জড়ো হন

ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপুল সমাগম

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–ওলামা জড়ো হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। বেলা একটার দিকে সম্মেলন শেষ হয়।

তাবলিগ কওমি মাদ্রাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ। মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বক্তব্য দেন। তাবলিগ জামায়াতের দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির বিপক্ষে এই মহাসম্মেলন করেছেন প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সম্মেলনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বলেছেন, দেশে ইজতেমা একবার হবে, দুবার নয়। ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সরেজমিন দেখা যায়, আজ সকালে ফজরের নামাজের পর থেকেই তাবলিগ জামায়াতের লোকজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর উদ্যানের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়ক ও শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সড়কে বিপুল সংখ্যায় তাবলিগ জামায়াতের অনুসারীরা অবস্থান নেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেলা পৌনে ১১টার দিকেও তাবলিগের অনুসারীদের মহাসম্মেলনে আসতে দেখা যায়।

মহাসম্মেলনে বক্তারা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

এর আগে দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও ‘আপামর তাওহিদি জনতাকে’ মহাসম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল এক বিবৃতিতে। তাতে বলা হয়েছিল, ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া ও দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মহাসম্মেলনের আহ্বান জানানো বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে ছিলেন আল্লামা শাহ্ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী, আল্লামা আবদুল হামিদ, আল্লামা আবদুর রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা জাফর আহমাদ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সা’দী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জিয়াউদ্দিন, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা আনাস, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী ও মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী প্রমুখ।