বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও কয়েকজনের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীরা নিজেদের ‘রাজাকার’ আখ্যায়িত করে যে স্লোগান দিয়েছেন, তা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
নিজেদের রাজাকার আখ্যায়িত করে দেওয়া স্লোগানের বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, এই স্লোগানই প্রমাণ করেছে যে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় দাঁড় করিয়ে দিতে একটি মহল তৎপর। শুধু তা–ই নয়, তারা ইতিমধ্যে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিজেদের কবজায় নিতে ওই সব হঠকারী স্লোগান তুলছে। এটা কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বিপজ্জনকই নয়, দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যের জন্যও বিপজ্জনক।
মেনন আরও বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতৃত্ব এখন বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হাতে চলে গেছে। তারা এই আন্দোলনকে এখন সরকার পরিবর্তনের রূপ দিতে চায়, যা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো।
সভার সভাপতির বক্তৃতায় দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দলকে গড়ে তুলতে সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশ সফল করার জন্য সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের পলিটব্যুরো, জেলার ইনচার্জদের সঙ্গে সমন্বয় করে সংগঠনকে গতিশীল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্য, সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে হবে।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আদালতের ওপর দায় না রেখে সরকারকে এখনই এ ব্যাপারে একটি সমাধানে পৌঁছাতে হবে।
সভায় দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তপন কুমার দত্ত চৌধুরী, শরীফ শমসির, দীপঙ্কর সাহা, জোবায়দা পারভিন, মোস্তফা আলমগীর, সাব্বাহ আলী খান, কিশোর রায়, শাহানা ফেরদৌসী, মুর্শিদা আখতার, মোতাসিম বিল্লাহ, কাজী মাহমুদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।