ডিবি অফিসে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়নের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করায় সমস্যার কিছু দেখছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দাদের কাজই তো এটা। এটা তো বিপ্লব বড়ুয়া বা এ আরফাতদের (মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রীর পাশে বসে ছিলেন) দিয়ে হয়নি। যা সত্য, সেটা আসছে। উনি তো রুই মাছ দিয়ে খেলেন। উনি কেন খাইলেন? এত ক্ষুধা! তিন দিন খাইনি আমরা, এমনও তো হয়েছে।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিদেশিদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না, সুদান দু-তিন ভাগ হয়ে যাচ্ছে, গতকালই একটা ক্যু হয়েছে, কাগজে একটা প্রতিবাদ ছাড়া কিছু করতে পারছে না। সবারই আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত।’
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো বিদেশি দূত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ বা সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা বলেনি। তাদের দাবি একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাদের দাবি আমাদের দাবি এক। আমরাও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমাদের কারণে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ না হলে আমরা দায়ী থাকব। অন্যদের কারণে যদি শান্তিপূর্ণ না হয়, তারা দায়ী থাকবে।’
গত শনিবার বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠি ও অস্ত্র হাতে থাকা কর্মী–সমর্থকদের নিজ দলের নয় বলে দাবি করেন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁরা বিএনপির নেতা-কর্মী। বিএনপি সেদিন যা করেছেন, তা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার শামিল। তাঁদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত ছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি যে নৈরাজ্য করে, তা থামানোর দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ ব্যর্থ হলে আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করত। এ জন্য তারা সেখানে ছিল।’