সরকার এক মাসে দুবার বিদ্যুতের দাম এবং সাত মাসের ব্যবধানে গ্যাসের দাম ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা এমন অভিযোগ করেন।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট, অপচয়-ভুলনীতির কারণে জ্বালানি খাতে লোকসানের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরং ‘কুইক রেন্টালের’ বিরোধিতাকারীদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অথচ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসিয়ে বসিয়ে ‘ক্যাপাসিটি চার্জের’ নামে ৯৬ হাজার কোটি টাকা গত ১২ বছরে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হয়েছে, সেটার দায় জনগণ কেন নেবে?
বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিরোধী রাজনৈতিক দল-সংগঠনের ওপর হামলা-নিপীড়নের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশটি হয়। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ বক্তব্য দেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।