সুবিশাল জাতীয় পতাকা ঘিরে নেতা-কর্মীরা হাঁটছেন। তাঁদের পেছনে আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা নিয়ে আরেক দল নেতা-কর্মী। মাথায় লাল-সবুজ রঙের টুপি। ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে তাঁরা আনন্দ-উল্লাস করছেন। বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সামনে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার আয়োজন করা হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রার। বেলা আড়াইটা থেকেই নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সামনে ট্রাকের ওপর বানানো হয়েছে মঞ্চ। কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত যৌথ সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে ও পিকআপ ভ্যানে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে মিছিল নিয়ে আসছেন। তাঁদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা ধরা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের আদলে বানানো প্ল্যাকার্ড রয়েছে মিছিলে। শাহবাগ মোড় থেকে মৎস ভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাকের ওপর বানানো মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নেতাদের বক্তব্য শেষে এখান থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের গতকাল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ২৩ জুন সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেলা আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ, ২২ জুন রবীন্দ্র সরোবর ও ২৪ জুন হাতিরঝিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার, ক্রোড়পত্র ও ভিডিও প্রকাশ করা হবে। সারা দেশে ‘সবুজ ধরিত্রী’ নামে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।