ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তথ্য জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, স্থানীয় জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের রাশেদা সুলতানা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করতে পারবে না, এটা তাঁরা বিশ্বাস করেন না।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমদ নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে ঘটনাটা কী ঘটেছে, সেটা তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি নিখোঁজ কবে হলেন, কীভাবে হলেন, কী সমাচার, এই বিষয়গুলো জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটা খবরে দেখতে পাচ্ছি, তাঁকে নাকি আটকে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা কতটুকু, এটা জানার জন্যই তদন্ত করতে বলেছি।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজে গিয়ে ওই প্রার্থীকে ধরে আনতে পারবে না। যেভাবে হোক, প্রার্থীকে উদ্ধার করতে ইসি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা বলেছি, আপনারা চেষ্টা করেন, বাইরে নিয়ে আসেন, যেভাবে হোক। এই নির্দেশ আমরা দিয়েছি। আপনারা তাঁকে (আবু আসিফ আহমেদ) উদ্ধার করেন। বলেছি, আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেন, ইলেকশনের আগে তাঁকে বাইরে নিয়ে আসেন যেভাবে হোক। নির্বাচনের আগে হলে তো আরও ভালো হয়। মিডিয়ার সামনে তিনি আসবেন। দেখবেন। কথা বলবেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। শুক্রবার থেকে তাঁকে নির্বাচনী এলাকার কোথাও প্রচারণায় দেখা যায়নি। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, শুক্রবার রাত থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।