বর্তমান নির্বাচন কমিশনও (ইসি) ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন আরও একটি বিতর্কিত ও প্রহসনের নির্বাচন করার পথেই অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি বলেছে, ইসির সক্ষমতা, সদিচ্ছা ও স্বাধীনতার প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইসির কোনো বিতর্কিত কাজের সহযোগী হয়ে জনমতের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারে না। এসব বিবেচনায় দলটি ইসির সংলাপে অংশ নেয়নি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে এক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। আজ ইসির সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা সংলাপে অংশ নেয়নি। সংলাপে না যাওয়ার কারণ ইসিকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনুছ আহমাদ বলেন, দলীয় সরকারের অধীন অতীতের দুটি নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়ে অংশ নেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অতীতেও নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য দলের পক্ষ থেকে গঠনমূলক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রস্তাবই মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং তাদের দ্বারা দল একধরনের প্রতারিত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনও বিগত দুটি নির্বাচন কমিশনের মতো একই প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন আরও একটি বিতর্কিত ও প্রহসনের নির্বাচন করার পথেই অগ্রসর হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। অতএব, জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষার প্রধান দায়িত্ব যে নির্বাচন কমিশনের; সেই নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, সদিচ্ছা ও স্বাধীনতার প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো বিতর্কিত কাজের সহযোগী হয়ে জনমতের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারি না। তাই সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ নেয়নি, যা আজ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’