কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ সমস্যা নিয়ে প্রথম আলো চারজন রাজনীতিকের অভিমত নিয়েছে। এখানে সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের অভিমত প্রকাশ করা হলো।
আদালতের ওপর দায় না রেখে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানের আলোকে কোটা সমস্যার সমাধানে সরকারেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এ দায়িত্ব সরকারের।
কারণ, কোটাব্যবস্থায় সংস্কারের দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের বা সরকারের। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়েও কোটা সংস্কারে সরকারের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও সংস্কারের কথা বলছেন। এখানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই যৌক্তিকভাবে সংস্কার চাইছে। ফলে এখন অপেক্ষায় না থেকে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে।
আমি মনে করি, কোটা পুনর্বহাল বা বাতিল নয়; নারী, প্রতিবন্ধী, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বিবেচনায় কোটা সংরক্ষিত রেখে কোটাব্যবস্থার যুক্তিযুক্ত সংস্কারই বাঞ্ছনীয় হবে।
বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। সব আন্দোলনেই রাজনীতি থাকে। রাজনীতির বাইরে কোনো আন্দোলন হয় না। সরকারের দায়িত্ব তা সামাল দেওয়া বা সমাধান করা।
কোনো আন্দোলনের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগের অভিযোগ তুলেও লাভ হয় না। কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টি হলেও তো জনদুর্ভোগ হয়। গত শুক্রবার দেশে যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে তো রাজধানীতেই জনদুর্ভোগ হয়েছে। সে জন্য কি বৃষ্টি হতে পারবে না। ফলে এসব বলে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সরকারও যেহেতু কোটাব্যবস্থায় সংস্কার চায়, সেখানে জটিলতার কিছু নেই। বিষয়টি আদালতে থাকলেও সরকারের উদ্যোগ নিতে কোনো সমস্যা নেই।
আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্যা সমাধানে পারদর্শী ও সক্ষম। এখন দোষারোপের দিকে না গিয়ে সরকারের খোলামন নিয়ে সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।
রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য ও সভাপতি, ওয়ার্কার্স পার্টি