প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল

রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ না হওয়া একটি কারণ: সিইসি

রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ না হওয়াকে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি কারণ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ রোববার ১৯টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এবার ৪৬৯টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া তৃতীয় ধাপের ১৯টি উপজেলায় ভোট হয় আজ। এর মধ্য দিয়ে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এবার চার ধাপেই ভোটের হার ৪০ শতাংশের নিচে ছিল। আজ যে ১৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে, সেখানকার ভোটের হার সুনির্দিষ্টভাবে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়নি। যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে।

সিইসি বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীর। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে আবেদন রাখতে পারেন। এতে ভোটাররা কতটুকু সাড়া দেবেন, এটা তাঁদের ওপর নির্ভর করে। তাঁরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাঁরা সেটা বিবেচনা করতে পারেন। তবে ইসির জন্য এটি বিবেচ্য নয়। ইসির বিবেচ্য হচ্ছে ভোট যেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়। ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে বিনা বাধায় ভোট দিতে পারেন। ইসি সেদিকে বিশেষ জোর দিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয় নয়। চট করে বলা যাবে না। তাঁরা হতাহতের খবর পাননি, ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি, এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেদিক থেকে ইসি সন্তুষ্ট বোধ করছে। তবে ভোটের হার ৬০-৭০ শতাংশ হলে তাঁরা আরও বেশি সন্তুষ্ট হতেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো উত্তরণে কী করা যায়, আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা হবে। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ইসির নির্দেশনা তাঁরা কঠোরভাবে প্রতিপালন করেছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাও খুব ইতিবাচক ছিল। তবে এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। দেখা গেছে দু-একটি দল ছাড়া অন্যরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।