দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান দখলদারি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। রোববার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি। ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল, দখলদারি–চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কিন্তু এটি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি এখনো পর্যন্ত হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাল্টাদখলদারি, নীরব চাঁদাবাজি, হুমকি–ধমকি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানে দখলদারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাম জোটের নেতারা। এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংঘটিত ঘটনার জেরে সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি এবং আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানা ভাঙচুরসহ নৈরাজ্যকর ঘটনাকে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বাম জোটের বিবৃতিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম এখনো পর্যন্ত টেনে ধরতে না পারায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, দেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সাধারণ জনগণ দিশেহারা। তাই অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলীর পক্ষ থেকে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।