আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে
আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির

১৫ বছর আগে তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার নিম্ন আদালতে বিচার হওয়ার কথা বলছে। কিন্তু ১৫ বছর পার হলেও সেই বিচারের আপিলের শুনানি হয়নি।

আজ রোববার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ওই বক্তব্য দেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি বিচার বিলম্বে হয়, তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না। কাজেই আজকে আমরা শুনেছি যে সেই বিচারে আপিলপ্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে...কেন ঝুলে আছে। কিন্তু কেন ঝুলে আছে, তা জনগণের জানা দরকার।’

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বিডিআরের দুঃখজনক ট্র্যাজেডিসংক্রান্ত মামলায় যারা অভিযুক্ত হয়েছে, তাদের সুবিচার আমরা কামনা করি। বিচারকাজে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করা যুক্তিযুক্ত নয়।’

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করে।

এই সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জয়নাল আবেদীনসহ তৎকালীন বিডিআরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের পিলখানার বিদ্রোহ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।