আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন
আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন

ভোট দিয়ে তালুকদার খালেক বললেন, জনগণ যে রায় দেবে, তা মেনে নেব

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রদান শেষে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ এর আগে যে রায় দিয়েছিলেন, সেটি তিনি মেনে নিয়েছিলেন। এবারও জনগণের রায় মেনে নেবেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তিনি নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। মেনে নেব বলেই তো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলাম। তখন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় আমিও মেয়র ছিলাম। অতএব নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণ যে রায় দিয়েছে, আমরা সেই রায় মেনে নিয়েছি। এবারও যে রায় দেবে, তা মেনে নেব। সেই মানসিকতা আমাদের আছে।’

তালুকদার আবদুল খালেক আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, প্রার্থী হিসেবে আমরা তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। সকালবেলা অনেক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছি। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি, আরও ভোটার আসছেন। অতএব আমার মনে হয়, অনেক সুন্দর পরিবেশে ভোট উৎসব হচ্ছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে। যাঁরা কেন্দ্রের মধ্যে থাকবেন, তাঁদের অবশ্যই ভোট নেওয়া হবে।’

ইভিএম সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ইভিএমএ একটু ধীরে ভোট হচ্ছে। কেন্দ্রে থাকা লোকজন ভোটারদের পদ্ধতি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই মানুষ ভোট দিতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘খুলনার চলমান উন্নয়নকে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন করতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। অতএব আমি মনে করি, ইনশা আল্লাহ, আজকের এই নির্বাচনে জনগণের রায়ে জয়লাভ করব।’

কেন্দ্রে ভোটারদের কম উপস্থিতির কারণ ও সার্বিকভাবে ভোটারের উপস্থিতির বিষয়ে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘গণসংযোগের সময় মানুষের সঙ্গে যে কথা বলেছি, তাতে ভোটারের উপস্থিতি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ হতে পারে। সকালে মানুষের অনেক কাজ থাকে, রান্নাবান্না থাকে। এসব কাজ শেষ করে চারটার মধ্যে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন।’