বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উগ্র সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আখ্যা দিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তারা রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি, জামায়াত—স্বাধীনতাবিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।’
শেখ সেলিম বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে রাজনীতি করতে না পারে, সে জন্য এই দাবি করছেন। তিনি এ দাবি করছেন, যাতে রাজনীতির নামে তারা বাংলাদেশে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজকতা না করতে পারে।
বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয় বলেও মন্তব্য করেন শেখ সেলিম। তিনি বলেন, তারা জঙ্গি সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না, তারা আবার কী রাজনীতি করবে?
বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দাবি করেন শেখ সেলিম। তিনি বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী এখনো আইনের শাসন, মানবাধিকারের কথা বলে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই বুদ্ধিজীবীরা কোথায় ছিলেন?
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি সংসদে দেওয়া বক্তব্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জানান সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান। গত বছরের আগস্টে এই দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছিল যুবলীগ।