চলছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব। কিছুক্ষণ পরই নতুন কমিটির ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে আট বিভাগের আটজন কাউন্সিলর বক্তৃতা করেছেন। এখন চলছে বাজেট পেশ, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র অনুমোদনের প্রক্রিয়া।
এর আগে প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা। তাঁদের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত হলেও বিএনপির কোনো নেতা আসেননি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীও গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপস্থিত হন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক (চুন্নু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
১৪ দলের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতা, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে আগেই।
এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রধানকে আমন্ত্রণ করেছিল আওয়ামী লীগ। অংশও নিয়েছেন তাঁরা। তবে এবার বিদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এর আগে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরে তিনি মঞ্চে যান।