ভোলায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। ছাত্রদল নেতারা বলেছেন, ভোলায় পরিকল্পিতভাবে গুলি করেছে পুলিশ। পুলিশ দিয়ে হামলা-মামলা-গুম করে দলের নেতা-কর্মীদের ‘কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য’ থেকে সরাতে পারবে না সরকার।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বকশীবাজার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন-২-এর সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়৷

সমাবেশে আকতার হোসেন বলেন, ‘ভোলায় পুলিশ পরিকল্পিতভাবে বিএনপির মিছিলে গুলিবর্ষণ করেছে। পুলিশ দিয়ে হামলা-মামলা-গুম করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে দূরে সরানো যাবে না। অচিরেই দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। সব অনাচারের বিচার এই দেশেই হবে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’

বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে রোববার ভোলা সদর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

বিএনপির দাবি, পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিয়ে গুলি চালিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমাবেশের অনুমতি নিয়ে মিছিল বের করায় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন।

পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, গুলিতে নিহত ব্যক্তি নাম আবদুর রহিম। তিনি ভোলা সদর উপজেলার দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।