তিন মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স)। আজ শনিবার দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে মুক্তি পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম।
সৈয়দ এমরান সালেহর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় ৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন সৈয়দ এমরান সালেহ। এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এ ছাড়া ময়মনসিংহে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় তিনি ময়মনসিংহের আদালত থেকে জামিন পান। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর আজ তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর এবং এরপরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাঁর জামিন হয়নি।
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পরদিন মির্জা ফখরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মির্জা ফখরুলের মতো কারাগারে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান (দুদু), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীসহ (এ্যানি) ১৮ শীর্ষস্থানীয় নেতা।