আগামীকাল রোববার সারা দেশে ‘ডামি’ ও ‘ভাড়াটিয়া’ প্রার্থীদের ভোটার কেনার প্রতিযোগিতা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেন, এই নির্বাচনে জনসম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া হয়ে ভোট কেনা শুরু করেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আজ শনিবার রাত থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী বাহিনী।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পুরানা পল্টন এলাকায় ‘ভোট বর্জন’ ও হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১২–দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ আগামীকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে পরাজয় হয়েছে। তাই তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। নির্বাচনের পরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিদেশিরা এই সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তাই রাতের ভোটই আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র ভরসা।
আওয়ামী লীগ নিজেরাই অগ্নিসন্ত্রাস করে, আর দায় চাপায় বিরোধী দলের ওপর—এ অভিযোগ করেন ১২–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অতীতের ইতিহাস অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ কাবাব বানিয়ে পোড়ানোর ইতিহাস। বিএনপি ও ১২-দলীয় জোট অগ্নিসন্ত্রাস করে না। আওয়ামী লীগই অগ্নিসন্ত্রাসের জনক।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই সরকারের সময় শেষ। জনগণ তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামীকাল কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ।
আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।