নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে ভবনের মালিকপক্ষ

রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের ছয়তলায় নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা  
ছবি: সংগৃহীত

নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ভবনের মালিকপক্ষ। রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম–জামান টাওয়ারের ছয়তলায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক ।

নুরুল হক বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা দেন প্রিতম–জামান টাওয়ারের মালিক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। দলে ভাঙনের পর রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদে আগের দুটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগানোর পর প্রিতম–জামান টাওয়ারের কাছে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নুরুল হক। সেখানে তিনি বলেন, ‘মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের দলে থাকার সময় এই কার্যালয় অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন। তিনি এখন দল করবেন না, ভালো। তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তিনি মাসিক ভাড়া নেবেন।’

নুরুল হক বলেন, ‘ভাড়া না নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি কলাপসিবল গেট বসিয়ে তিনি (মিয়া মশিউজ্জামান) ঢাকা শহরের স্বীকৃত মাস্তানদের পাহারাদার হিসেবে বসিয়েছেন। তাঁদের হাতে অস্ত্র আছে। আমরা গেলে হামলা করবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা এখনো কার্যালয়ে যাইনি। দু–একজন করে গেলে তাদের মারধর করেছেন। মোবাইল নিয়ে গেছেন।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, পুলিশ সহযোগিতা করলে তাদের নিয়ে কার্যালয়ে যাবেন। না করলে অপশক্তির মোকাবিলা করে কার্যালয়ে গিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাবেন। ভাড়ার চুক্তি অনুযায়ী, ছয় মাস সময় দিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে তাঁরা নতুন কার্যালয় খুঁজে নেবেন। ছয় মাসের আগে কার্যালয় ছাড়বেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়া মশিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামান টাওয়ারে তাঁদের অফিস ছয়তলায়। লিফট থেকে নামলে আগে তাঁদের গেটের সামনে একটা কলাপসিবল গেট ছিল। তার সামনে আজ আরও একটা গেট লাগিয়েছেন।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘বিল অনাদায়, ভবনের মালিকানা নিয়ে হুমকি, আমার পরিবারকে হুমকি, অকথ্য গালিগালাজের কারণে মনে করেছি, নুর (নুরুল হক) উপযুক্ত ভাড়াটে নন। বরং তিনি আমার সম্পত্তির জন্য বিরাট হুমকি।’

এর আগে গত ৭ জুলাই দুই দিনের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়তে নোটিশ দিয়েছিল ভবনের মালিকপক্ষ। গণ অধিকার পরিষদের তৎকালীন সদস্যসচিব নুরুল হক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। জমির মালিকের পক্ষে মো. রাশিদুল আজিম মিয়া নামের এক ব্যক্তি নোটিশটি পাঠিয়েছিলেন।