কোটার ন্যায্য দাবি আদায়ের পর শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজকে কোটা আন্দোলন যারা করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, যে জনস্রোত রাজপথে আমরা দেখছি, হয়তো আপনাদের দাবি সরকার মেনে নিতে বাধ্য হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘কোটা বিলোপের জন্য যারা আন্দোলন করছে, তাদের অনুরোধ করব, গণতন্ত্রের দাবিতে আবার আপনারা রাজপথে নামবেন।’
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার এখন আর প্রয়োজন নেই’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, ৫ শতাংশের বেশি কোটা থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধা কোটার আর প্রয়োজন নেই, জেলা কোটা তো হাস্যকর। তাদের কথামতো বাংলাদেশ যদি উন্নয়নের রোল মডেল হয়, তাহলে জেলা কোটা কেন। সারা বাংলাদেশই তো উন্নত হয়েছে। সুতরাং এখন আমরা চাই, বৈষম্যহীন শাসনব্যবস্থা দেশে কায়েম হোক। বৈষম্যমূলক এই কোটাব্যবস্থা বিলোপ হোক।’
ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে সরকার পুলিশ ও ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ আজকে আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আজকে একটা যৌক্তিক দাবিতে, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হবে, এ ধরনের সুনাগরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র লাঠি ব্যবহার করার জন্য ছাত্রলীগকে একতাবদ্ধ করা হচ্ছে। তাদের দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী এবং ছাত্রলীগকে মাঠে নামিয়েছে।’
‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে’ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন রেজার পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।