নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ১২-দলীয় জোটের নেতা–কর্মীরা। ঢাকা, ২৯ নভেম্বর
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ১২-দলীয় জোটের নেতা–কর্মীরা। ঢাকা, ২৯ নভেম্বর

ভারত-রাশিয়ার সহায়তা নিয়েও আওয়ামী লীগের পতন ঠেকানো যাবে না: ১২–দলীয় জোট

বিএনপির সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা ১২–দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, ভারত ও রাশিয়ার সাহায্য নিয়েও এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। তাঁরা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য সরকার ভয়ংকর এক খেলায় মেতে উঠেছে।

আজ বুধবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ১২–দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের দাবিতে আজকের অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে তাঁরা এ সমাবেশ করেন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন জোটের নেতা–কর্মীরা।

১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সরকাবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল জোটটি। বিভিন্ন সময় সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেও গত বুধবার হঠাৎ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন মুহাম্মদ ইবরাহিম।

ওই দিনই এক জরুরি সভায় মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেনকে ১২–দলীয় জোটের নতুন মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ১২–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা কারাগারে বন্দী থাকায় জোটের সমন্বয়ক করা হয় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধানকে।

আজকের সমাবেশে জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য নতুন কৌশল নিচ্ছে। তবে দেশের জনগণ এই সরকারের পাতানো নির্বাচনে যাবে না।

জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, যারা ভিনদেশি অপশক্তির ওপর ভরে করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারা স্বাধীনতার শত্রু। এবার তাদের প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান। তিনি বলেন, এই সরকার সারা দেশকে বন্দী করে রেখেছে।

এ সময় বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা প্রমুখ।