কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় এবি পার্টির কালো পতাকা মিছিল। ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় এবি পার্টির কালো পতাকা মিছিল। ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৪

এই হত্যাকাণ্ডের দায় ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে: এবি পার্টি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় প্রাণহানির দায় ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের নৃশংসতার কারণে ছাত্র আন্দোলন এখন গণ-আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগর কালো পতাকা হাতে পালিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এবি পার্টির নেতারা এসব কথা বলেন। আগের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলার জন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে ছাত্রহত্যা। গতকাল এই ছয়জনের হত্যার পুরো দায় ওবায়দুল কাদেরের।’

সমাবেশে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান রংপুরে সংঘর্ষে নিহত আবু সাঈদকে নতুন ‘প্রজন্মের বীরশ্রেষ্ঠ’ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তাঁর এ হত্যার দায় ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে আজ ছাত্রলীগকে হেলমেট বাহিনীতে পরিণত করেছে। ফলে ছাত্রলীগ এখন অনেকের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় এবি পার্টি, এনডিএম ও গণ অধিকার পরিষদের যৌথ কালো পতাকা মিছিল। ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৪

বিক্ষোভ কর্মসূচির শুরুতে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়–সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন, প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন ঘুরে আবার বিজয়নগরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুক্ত হয়।

দলীয় মিছিল শেষে এবি পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা যৌথভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে গণমিছিল বের করেন।

মিছিলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মহাসচিব মমিনুল আমিন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।