আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) আহ্বায়কের পদ ছেড়ে দেওয়া এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি। এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আহ্বায়কের পদ ছেড়েছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। আগামী ডিসেম্বরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। নির্বাচনকে পক্ষপাতমুক্ত রাখার জন্য আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছি। এখন কাউন্সিলররা আমাকে ভালো মনে করলে ভোট দেবেন।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি এবি পার্টির আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছি।’ অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরী কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, তা ফেসবুকে উল্লেখ করেননি। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগের জন্য তাঁর মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এদিকে সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের খবর জানাজানি হলে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন ছড়ায়। এবি পার্টির দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছিল, সোলায়মান চৌধুরীকে সরকারের কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদে তাঁর নিযুক্তির কথা ছড়ায়।
যদিও আজ পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মোবাশ্বের মোনেমকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এদিকে সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের পর দলটির নতুন আহ্বায়ক করা হয়েছে মেজর (অব.) আবদুল ওহাবকে। মঙ্গলবার রাতে এবি পার্টির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (এনইসি) জরুরি সভায় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ককে নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। এ বিষয়ে এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দল পদত্যাগের পরপরই সোলায়মান চৌধুরী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হতে হলে ব্যক্তির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পরিহার করতে হয়। এবি পার্টির গঠনতন্ত্রেও কোনো নেতার একই সঙ্গে দলীয় পদ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই; তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়।
সম্প্রতি দলটির নেতা তাজুল ইসলামের দল থেকে পদত্যাগ করে সরকারি দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনাও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে এবি পার্টির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামও দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত পান।
অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্যসচিব করে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছিল ২০২০ সালের মে মাসে।