প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
শেষ গত ৮ জুলাই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাত্র ছয় দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ২৩ জুন তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা উপেক্ষা করে এসেছে। সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। লম্বা যাত্রার জন্য তাঁর শরীর উপযোগী হয়ে উঠলে তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হবে।