নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলায় আক্রান্ত এলাকায় এখনো ভীতি কাটেনি: বাম গণতান্ত্রিক জোট

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিচারহীনতার কারণেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে আয়োজিত সমাবেশে এ অভিযোগ করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সমাবেশে বাম নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষামোদ করছে। তাদের দাবি মেনে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি করছে। পাঠ্যবইয়ের সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। সমাজে উগ্রবাদী ধারণার বিস্তার ঘটানোর সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সরকার।

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, মানুষের মন থেকে এখনো ভীতি দূর হয়নি। অনেকে এখনো বাড়ি ফিরে আসেননি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এই অবস্থা কাম্য নয়। অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাই যাতে নাগরিকের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

বাম নেতারা এ সময় দাবি করেন, সরকারি লোকজন সেখানের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তাঁরা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে চাইছেন। সরকারি দলের লোকজন ‘কিছু হয়নি—এমন একটা আবহ তৈরির চেষ্টা করছে।’ নড়াইলে হামলার ঘটনায় সাহাপাড়ার মানুষের মনে ভীতি দূর হয়নি। অনেকে এখনো বাড়ি ফেরেননি। যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশি কথা বলতে নিষেধ করা হচ্ছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা জুলফিকার আলী, বাসদ (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।