ধর্মের নামে ওলামা লীগে ব্যবসা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ওলামা লীগে চাঁদাবাজদের স্থান নেই।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ সোমবার ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে হলে দলের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন—এই রকম লোকের দরকার নেই।
ওলামা লীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের জন্য খুব সুখকর নয় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘অতিতে যা দেখেছি, কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। নেতায় নেতায় বিভেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ এমন উচ্চারণ করবে, সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে এই সংগঠন গঠন করতে হবে। কোনো টাউট–বাটপার যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
যেখানে সম্মেলন, সেখানেই কমিটি করতে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতভেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দলবিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, অন্য কোনো শাসক তা করেননি বলে মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির নেতাদের কারাগারে পাঠানো–সংক্রান্ত দলটির বক্তব্যেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে বিএনপি হিসেবে নয়, অপরাধী হিসেবে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের কোনো দল নেই। তারা দুর্বৃত্ত, তারা সন্ত্রাসী।
ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আবদুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।