সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়েছে। ওই দিন তাঁদের সাক্ষাৎকার নেবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। এ জন্য প্রার্থীদের গণভবনে প্রবেশের জন্য তারা যে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, এর স্লিপ প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলীয় ফরম বিক্রি ও জমা নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। সেই হিসাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩২ জনের মতো আগ্রহী পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবারই নারী আসনে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা ঠিক করবেন। ওই দিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে সবার উপস্থিতিতে তিনি একটি বক্তৃতা করবেন। এরপর বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করবেন। এরপর তাঁর জার্মানি সফরের কথা রয়েছে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ১৪ মার্চ। অবশ্য সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণত নিজেদের প্রাপ্য আসনগুলোয় একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয় দল বা জোটগুলো। ফলে এখানে ভোটের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। তফসিল অনুসারে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সীমা ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেটি হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে পারে। এমনকি সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মধ্য থেকেও কাউকে কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা আছে।