সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামকে স্মরণ করেছেন শিক্ষাবিদ-রাজনীতিক-কূটনীতিকসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। স্মরণসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমি তাঁকে শহীদের মর্যাদা দিতে চাইছি। কারণ, দেশের কথা বলতে বলতেই তিনি চলে গেছেন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘দি ঢাকা ফোরাম’ (টিডিএফ) আয়োজিত এক স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের জীবন-কর্মের নানা দিক তুলে ধরে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, তিনিসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের যখন গ্রেপ্তার করে কারাবন্দী করা হয়, তখন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় তিনি ভূমিকা রাখেন। সিরাজুল ইসলাম ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন লেখনীর মাধ্যমে, কথার মাধ্যমে।
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ। সভায় সিরাজুল ইসলামের সহধর্মিণী নাসরিন ফোজিয়া, দুই মেয়ে মৌসুমি ইসলাম ও নওরিন উপস্থিত ছিলেন।
সিরাজুল ইসলাম গত ১১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান। ১৮ আগস্ট তাঁকে ঢাকার বনানীতে দাফন করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সেখানেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ক্যানবেরা, নয়াদিল্লি, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেন।