সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশকে বাহবা দিচ্ছে, ভারতের কাছে গিয়ে তোষামোদ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গিয়ে হাত–পা ধরছে। দেশ ও দেশের সর্বভৌমত্ববিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও বর্তমান সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া উচিত।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ২৭ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে আজ গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভা কর্মসূচির আয়োজন করে।
আজকের কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার পুলিশকে এখন বাহবা দিচ্ছে, ভারতের কাছে গিয়ে তোষামোদ করছে, আমেরিকার হাত-পা ধরছে। অবিলম্বে সরকার যদি চলে না যায়, যদি বেশি সময় পায়, তাহলে ওরা ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করবে। সরকারকে হটাতে এখনই আরও বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।
২৪ ঘণ্টার বেশি তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখার প্রশ্নই ওঠে না। এখনো তিনি পদত্যাগ করেননি। তাঁকে বরখাস্তও করা হয়নি। এর অর্থ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য।আ স ম আবদুর রব, সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকবার বলেছি, ষড়যন্ত্রের কোনো ব্যাপার নেই। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই। আমরা আপনাকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আমরা মনে করি, আপনার যোগ্যতা নেই ক্ষমতায় থাকার। আপনি যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন, তত দিন দেশের দুর্ভাগ্য বাড়বে।’
যেকোনো দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রসচিবকে বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারপ্রধানের কাছ থেকে ব্রিফিং নিতে হয় বলে উল্লেখ করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটা বিদেশের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছেন। এই ব্রিফিং তিনি কার কাছ থেকে নিয়েছেন? ২৪ ঘণ্টার বেশি তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখার প্রশ্নই ওঠে না। এখনো তিনি পদত্যাগ করেননি। তাঁকে বরখাস্তও করা হয়নি। এর অর্থ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বে আব্দুল মোমেনের মতো ‘একজন দায়িত্বহীন, দেশবিরোধী ও দেশদ্রোহী’ লোক কীভাবে থাকেন, সেই প্রশ্ন রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে একবার বলেছেন, ভারতে গিয়ে আরেকবার বলেছেন যে তারা যেন বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করে শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রচারপত্র বিলি ও বিক্ষোভ মিছিল করে পুরানা পল্টন মোড় থেকে শান্তিনগরের দিকে যান তাঁরা।