রাজপথেই ফয়সালা করতে হবে: বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার মুখে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে সরে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শনিবার রাত, বনানী, ঢাকা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ঢাকার বনানীতে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে যদি হটাতে হয়, তাহলে রাস্তায় তার ফয়সালা করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন করছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়া হবে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের আগে থেকেই বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রাস্তা দখলে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। এর উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে কীভাবে আওয়ামী লীগ এ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে অর্থাৎ এই যে জনগণের দুর্ভোগ, এই দুর্ভোগে তারা বিচলিত নয়। তারা দুর্ভোগ সৃষ্টি করার পক্ষে মিছিল করছে, আমাদের বাধা দিচ্ছে।’

কোনো বাধা এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রুখতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ সরকারের হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করব, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এসে রাজনীতি করার স্বাধীন সুযোগ সৃষ্টি করব।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, দেশে আইন নেই, কোনো সুশাসন নেই, দেশে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকার কথা ছিল এই স্বৈরাচারী সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য এ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, এ সরকার এই দেশে আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। লুটপাট করে, দুর্নীতি করে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে, এটাকে আর মেরামত করতে পারবে না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে নজিরবিহীনভাবে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় শতকরা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, গরিব মানুষকে আজ অর্ধাহারে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই দুর্ভোগ থেকে এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে হলে, রাস্তায় তার ফয়সালা করতে হবে।

খন্দকার মোশাররফের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই কর্মসূচিতে হামলা করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ফলে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মৌন অবস্থান কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও ১৫ মিনিট আগেই তা শেষ হয়।

বনানীর এই কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, শ্যামা ওবায়েদ, নাজিম উদ্দিন আলম, শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তাবিথ আউয়াল হামলায় আহত হয়েছেন।