শর্তহীন সংলাপ করতে হলে বিএনপিকে সরকার পতনের এক দফা প্রত্যাহার করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপিকে এক দফা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৪–দলীয় জোট আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। কামরাঙ্গীচর হাসপাতালসংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৯ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত রাজপথে নেই। তাদের ‘প্রভু’ ধমক দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে, স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হবে। গতকাল (১৩ নভেম্বর) থেকে চিত্র বদলেছে। এখন তারা শর্তহীন সংলাপের কথা বলে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। শর্তহীন সংলাপের জন্য এক দফা প্রত্যাহার ও সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে বিএনপিকে।
মেনন বলেন, অবরোধ-হরতালের নামে গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষ মারা হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় আর দেশের মানুষ নির্বাচন করতে প্রস্তুত।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার জন্য অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অপশক্তির ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ প্রতিহত করবে।
সরকার পতনে বিএনপির দেওয়া এক দফার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, কত দফা দিয়েছে তারা। কোনো খবর আছে এসব দফার?
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ফারুকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন।