রাজধানীতে আগামীকাল শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি ও শাসক দল আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন। এর মধ্যে বিএনপিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ২৩টি শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির মহাসমাবেশ ও আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের পাল্টা সমাবেশের জায়গা নিয়ে পুলিশ গতকাল বুধবার আপত্তি তোলে।
পুলিশ বিএনপিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু দলটি তাদের প্রস্তাবিত নয়াপল্টন এলাকা অথবা সোহরাওয়ার্দীর উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও মহাসমাবেশ করতে রাজি হয়নি। এই দুটি জায়গা নিয়ে আপত্তির ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মদিবসে রাস্তায় সমাবেশের কর্মসূচিতে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়কে যুক্তি হিসেবে দেখায়।
পরে গত রাত নয়টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দিন পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই মহাসমাবেশে সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বাধা সৃষ্টি করবে না বলে তাঁরা আশা করেন।
বিএনপির সমাবেশের সময় পাল্টানোর পর আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শুক্রবার সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়। পুলিশের বিকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সমাবেশ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আগামীকাল এই স্থানের পাশেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিচারপতিদের নিয়ে রাষ্ট্রপতির একটি অনুষ্ঠান থাকায় এখন দলটি আবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই সমাবেশ করতে চায় বলে আজ দুপুরের দিকে দলটির সহযোগী সংগঠনের কয়েক নেতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে রাজারবাগ মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে। আর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মহানগর নাট্যমঞ্চ পর্যন্ত সমাবেশ করবে। এই সীমানার মধ্যেই মাইক স্থাপন করতে পারবে তারা। সমাবেশে ব্যাগ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আসা যাবে না।