আউটসোর্সিং কর্মচারীরা ভয়ানক বৈষম্যের শিকার বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার নতুন যাত্রায় অধিকারের এই চরম বৈষম্য কোনোভাবে চলতে পারে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঠিকাদারের মাধ্যমে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ঠিকাদারদের ঘুষ দিয়ে চাকরিতে থাকতে হয়। কোনো কর্মঘণ্টা নেই। মনগড়া বেতন। কোনো ভাতা নেই।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাসুদ কামাল, আশরাফ কায়সার; বাংলাদেশ সরকারি চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের নেতা মোহাম্মদ আজিম প্রমুখ।
সভা থেকে অবিলম্বে সরকারের নীতিমালার ৩(৮) ধারা অনুযায়ী সরাসরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ; ইতিমধ্যে যাঁরা কাজে নিযুক্ত, তাঁদের নিয়ে কর্মচারী পুল গঠনের দাবি জানানো হয়। সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রকল্প শেষ হলেও নতুন প্রকল্পে এই পুল দিয়েই যাতে নিয়োগ দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠক থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন এম এম জীবন।