একাদশ জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গত রোববার ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফলও প্রকাশ করেছেন। তবে ভোটের দিন ওই দুটি আসনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ ওঠেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছর জাতীয় সংসদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী এনে একটি নতুন ধারা যুক্ত করেছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করার পরও যদি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন অথবা কোনো যৌক্তিক তথ্য উপাত্ত নির্বাচন কমিশনের গোচরীভূত হয় নির্বাচন কমিশন ওই আসনের গেজেট স্থগিত রেখে ওই অভিযোগটি আমলে নেবেন। যথাযথ তদন্ত করাবেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, গত দুইদিন কয়েকটি গণমাধ্যমে লক্ষ্মীপুরে–৩ আসনের একটি কেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনের একটি কেন্দ্রের কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে। কমিশন সেগুলো বিশ্লেষণ করেছে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তারা সরেজমিনে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দেবেন তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ওই দুই আসনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত থাকবে।