একতরফা তফসিল দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক দুর্ঘটনার দিকে নিয়ে যাবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ
ছবি: প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল একতরফাভাবে ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ইসি একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করলে তা দেশকে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক দুর্ঘটনার দিকে নিয়ে যাবে। তফসিল ঘোষণা করা হলে আন্দোলন নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।

বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা পঞ্চম দফা অবরোধের প্রথম দিন আজ। বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চও এই কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচির সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করল। সমাবেশের আগে বিজয়নগর পানির ট্যাংক, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আজ সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, একতরফা তফসিল হলে তা হবে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

ইসির উদ্দেশে সাইফুল হক বলেন, ‘আপনারা এই খেলা বন্ধ করেন। দেশের মানুষ আরেকটা একতরফা, সাজানো, পাতানো, প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। সেই জায়গা থেকে আপনারা যদি তফসিল ঘোষণা করেন, তাহলে মানুষ ধরে নেবে আপনারা এই পাতানো নির্বাচনের সহযোগী। দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারা ভূমিকা পালন করছেন। দেশের মানুষ সরকারকে যেমন ক্ষমা করবে না, আপনাদেরও ক্ষমা করবে না।’

তফসিল ঘোষণা বন্ধের দাবি জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সরকার সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দেশকে অকার্যকর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। তারা গ্রামে গ্রামে, ইউনিয়নে ইউনিয়নে সহিংসতা তৈরি করছে। ইসি একতরফাভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে তা দেশকে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক দুর্ঘটনার দিকে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর সহযোগীরা চৌকস ভাষায় কথা বলে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য একধরনের আবহাওয়া তৈরির চেষ্টা করেছেন। তাঁরা বলেছিলেন, শেষ বিকেলে তাদের (ইসি) চরিত্র দেখা যাবে। আজকে তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণার যে উদ্যোগ ইসি নিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের আসল চেহারা প্রমাণ করতে যাচ্ছে। তারা এই সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের সংস্থা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, যদি তফসিল ঘোষণা করা হয়, তাহলে তাঁরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীর হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েক নেতা।