সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ দাবি জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার বিএনপির এ দাবি-সম্পর্কিত বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সরকার-সমর্থিত আইনজীবীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সরকার-সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীদের ওপর সরকারি দলের সমর্থক স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থীর বহিরাগত যুবলীগের ‘সশস্ত্র ক্যাডার’রা হামলা চালায়। একপর্যায়ে ভোট গণনা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা ওরফে যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
বিএনপি বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। কিন্তু জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও বিএনপির সমর্থক আইনজীবী ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নেওয়া হয়েছে রিমান্ডে।
জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার, পেশাজীবী সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়নসহ কোথাও সরকার আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেও কলুষিত করেছে। দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের করাল গ্রাসের আওতামুক্ত থাকছে না।’
বিবৃতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি আইনজীবী রুহুল কুদ্দুসসহ অন্যদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রুহুল কুদ্দুসসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে দলটি।