বিএনপির সহযোগী তিন সংগঠনের রোডমার্চ ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—তিন সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে রোডমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ছবি: সংগৃহীত

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রোডমার্চ করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিন সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এক দফা দাবিতে আগামী অক্টোবরে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি নিতে চায় বিএনপি। এর আগে চলতি মাসটি গণসংযোগের শেষ ধাপ হিসেবে নিচ্ছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তারই অংশ হিসেবে আগামী শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ এবং এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ হবে। রোডমার্চ শুরু হচ্ছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ দিয়ে। আজ এই প্রথম দুই দিনের রোডমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো ছাত্রদলসহ বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে।

কর্মসূচি ঘোষণা করে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে এক দফার আন্দোলন চলছে, সরকার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র ফেরত দিতে চাই। এ লক্ষ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত এবং ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’

সুলতান সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা আপাতত দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলাম। পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’

যুবদলের সভাপতি বলেন, ‘প্রতিটি রোডমার্চের শুরুতে ও শেষে দুটি জনসভা হবে এবং পথে আরও কিছু পথসভা হবে। গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ যে যার মতো করে এই রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। আশা করি, দেশের যুব-তরুণ সমাজ ঘর থেকে বেরিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজপথের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে।’

সুলতান সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা এর আগে দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিলাম। দেশে ৪ কোটি তরুণ নতুন ভোটার হয়েছে, তারা গত ১৫ বছরে একবারের জন্যও ভোট দিতে পারেনি। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা নেই।’ তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের রামরাজত্ব কায়েম হয়েছে। হলগুলোয় খাবারের মান নিম্নপর্যায়ে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ চলতে পারছে না। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তারেক রহমানসহ ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলা দিয়ে নিপীড়ন নির্যাতন করা হচ্ছে। গুম–খুন করা হচ্ছে। জেলে নির্যাতন করা হচ্ছে। সমগ্র দেশ আজ বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে ভুগছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ প্রমুখ।