উদ্যানে প্রবেশের দুটি ফটক, সড়কে যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শাহবাগ, রমনা পার্ক ও মৎস্য ভবন মোড় এলাকায় সড়কে অবস্থান নেওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ২২ জুলাই তোলা
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘দেশ বাঁচাতে’ তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বেলা দুইটায় সমাবেশ হলে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা সেখানে আসতে শুরু করেছেন। তবে উদ্যানের ভেতরে সমাবেশস্থলে দুটি ফটক দিয়ে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা।

শুধু দুটি ফটক দিয়ে ঢোকার সুযোগ থাকায় সামনের সড়কে হাজারো নেতা-কর্মীর ভিড় জমেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সড়কের যান চলাচল। এতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও মৎস্য ভবন মোড় এলাকায় গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ফটকটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। উদ্যানের ভেতরের দিকে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীকালে রমনা কালী মন্দির-সংলগ্ন ফটক এবং জাতীয় তিন নেতার মাজার-সংলগ্ন ফটকে গিয়েও একই অবস্থা দেখা যায়।

এসব ফটক দিয়ে কেউ উদ্যানে প্রবেশ করতে চাইলেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক দিয়ে ও শিশু পার্ক সংলগ্ন স্বাধীনতা জাদুঘরের (শিখা চিরন্তন) সামনের ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে।

সেখানে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে দুটি ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরে শাহবাগ বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে মাওলানা ভাসানী সড়ক হয়ে ওই ফটকের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে দেখা যায়, জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স এবং শাহবাগ শিশু পার্ক অংশ থেকে সড়কের উভয় পাশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। সমাবেশের উদ্দেশ্যে আসা নেতা-কর্মীদের প্রচণ্ড ভিড় জমেছে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি থেকে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া নেতা-কর্মীরা উদ্যানের ভেতরে প্রবেশের আগে সড়কে মিছিল-স্লোগান দিয়ে মহড়া দিচ্ছেন।তাঁরা ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘গুম করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে খালেদা জিয়া লড়বে’, ‘এই মুহূর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন মোড়, জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এসব এলাকার সামনে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা এসেছেন। তাঁদের উপস্থিতিতে এসব এলাকার সড়কগুলোতেও তীব্র যানজট দেখা গেছে।

দুপুর দুইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী এবং বিশেষ বক্তা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম। তারুণ্যের সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন।