বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদের গুলি করে হত্যা করা একটি ক্ষমাহীন অপরাধ এবং কোনো রাজনৈতিক দোহাই দিয়ে এটাকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো সুযোগ নেই।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলেছেন। বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান আজ শনিবার গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠান।
বিবৃতির শুরুতে বলা হয়, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সূচনা করেছে, তা গত ১৬ জুলাই থেকে একটি দুঃখজনক রক্তক্ষয়ী ঘটনাপ্রবাহের জন্ম দিয়েছে, যা এখনো বিরাজমান। গোটা জাতি আজ শোকে মুহ্যমান।
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে আমাদের নিজেদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদেরই সন্তানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে এবং শত শত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে। এমনকি ছোট শিশুরাও এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই নির্যাতন এখনো চলমান।’
বিবৃতিতে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতিকে রক্ষা করা সব নাগরিকের দায়িত্ব। আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনীতি, দল, সরকার অথবা ক্ষমতা কোনো কিছুই আমাদের সন্তানদের জীবনের চেয়ে অধিক মূল্যবান নয়।’
দেশের সুশীল সমাজ, সব পেশাজীবী ও সর্বস্তরের জনসাধারণকে ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে দেশের সব চিকিৎসককে সর্বপ্রকার চিকিৎসাসেবা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। যেকোনো মূল্যে ও যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হবে।’
এই মুহূর্তেই এ অবস্থার অবসান হওয়া জরুরি এবং এই দায়িত্ব পুরোপুরি সরকারের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আর একটিও প্রাণহানি, এক ফোঁটা রক্তপাতও দেখতে চাই না। ক্ষমতা প্রদর্শন নয়, বরং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে ছাত্রদের সব দাবি নিঃশর্তভাবে মেনে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন এবং সব হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে বিচার সুনিশ্চিত করুন।’