নির্বাচন নিয়ে যারা তাড়াহুড়া করছে, তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাত দিয়েই গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবনের সামনে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ডাকসুতে ছাত্রলীগের হামলার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
নুরুল হক বলেন, ‘আমরা জানি সরকারের দুর্বলতা আছে, সরকার সেগুলো মোকাবিলা করে সফল হয়ে উঠুক। সংস্কার কমিশন, প্রস্তাবনা দিয়ে সবকিছু বিচার–বিশ্লেষণ করা যায় না। কিছু ডিরেক্ট অ্যাকশনে (সরাসরি কাজ) যেতে হবে। শুধু পুলিশের সংস্কার নয়, বরং প্রশাসন, জনপ্রশাসন, নির্বাচন, মানবাধিকার কমিশন এমনকি সামরিক বাহিনীরও সংস্কার দরকার।’
নির্বাচন নিয়ে এখনই যারা তাড়াহুড়া করছে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৬ বছর (ক্ষমতায়) ছিল না? এই আন্দোলন না হলে আরও চার বছর থাকত না? এই সরকার দুই বছর থাকুক না, দেখি তারা দুই বছরে কী করে!’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিলের একটি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছিলাম। সেটাকে কেন্দ্র করেই মূলত ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনে হামলা। সে সময় সাদ্দাম (নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক) বলেছিল, “ভারতের ইস্যু নিয়ে কথা বইল না। তাহলে ছাত্রলীগ হামলা করবে।” কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমরা বিবৃতি দেব, পরিস্থিতি যাই হোক। সেদিন ছাত্রলীগের সাদ্দাম ও সনজিৎ (নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সভাপতি) এসে মারমুখী হয়।’ এই হামলার বিচার হয়নি উল্লেখ করে তৎকালীন ভিপি নুরুল হক আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।