তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
আজ রোববার সকালে সাদা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানানো হয়। বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান।
বিবৃতিতে সাদা দল বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় বিএনপির নেতৃত্বে চলমান গণ-আন্দোলনকে নস্যাৎ করা, দলটির নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণের মনোবল ভাঙতেই সরকারের ইঙ্গিতে সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
একই মামলায় তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন আসে, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী পলাতক। এ নিয়ে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পলাতক আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা করা হয়েছিল। এর সূত্র ধরে বর্তমান সরকার এই পরিবারকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপকৌশলে মেতে উঠেছে। তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ তারই অংশ বলে তারা মনে করে।
সাদা দল বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় বিএনপির নেতৃত্বে দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সোচ্চার। এ অবস্থায় গণ-আন্দোলন নস্যাৎ, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণের মনোবল ভাঙতেই সরকারের ইঙ্গিতে এমন আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে সাদা দলের ধারণা।
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা সরকারের হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, মিথ্যা মামলা ও রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত, হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনকেও নস্যাৎ করা যাবে না। তারা অবিলম্বে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ ও সম্পদ ক্রোকের আদেশ বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল থেকে বিরত থাকার জন্য তারা সরকারকে অনুরোধ করছে।