আন্দোলনের নামে যেখানেই অরাজকতা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে যুবলীগ। দলটির নেতারা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা আবারও আন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার ও মুগদায় বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন যুবলীগ নেতারা। চলতি মাসের শুরু থেকেই তারা সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। যুবলীগের কর্মসূচির শিরোনাম হচ্ছে ‘দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, তাণ্ডবের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।
কারওয়ান বাজারের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। এতে বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। তাঁরা আরও বলেন, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া ‘টেকব্যাক বাংলাদেশ’–এর নামে আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতে চান! বিএনপি-জামায়াত চক্র যেখানেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’।
মুগদার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সঞ্চালনা করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কোনো আঘাত হানার চেষ্টা করলে যুবলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী রাজপথেই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
পৃথক দুটি সমাবেশে যুবলীগের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ বদিউল আলম, আশিকুর রহমান, জয়দেব নন্দী, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।