বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়, গুলশান, ঢাকা। ২৫ জুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়, গুলশান, ঢাকা। ২৫ জুন

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামীকাল বুধবার এ–সংক্রান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

গতকাল সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে আন্দোলনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত জানাতে আজ এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে স্থায়ী কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, হৃদ্‌যন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানোর পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ আছে। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, তিনি এখন পর্যন্ত স্টেবল আছেন।’

গত রোববার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। সেটি ঠিকমতো কাজ করছে বলে তাঁর একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে গতকাল সিসিইউ থেকে কেবিনে (যেখানে সিসিইউর সব সুবিধা আছে) স্থানান্তর করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে দেশনেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কারণে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাইরে পাঠানোর জন্য সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রায়, তাঁর পরিবার আবেদন করে। ফাইনালি যখন এটা (আবেদন) প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে, প্রধানমন্ত্রী এটা রিজেক্ট করেছেন।’

মির্জা ফখরুল যোগ করেন, ‘শুধু এটা নয়, আমরা বিভিন্ন মিশনের কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম। তাঁরা চেষ্টা করেছেন, তাঁরা বারবার চেষ্টা করেছেন…ফেরত এসেছেন। তাঁরা বলেছেন যে সরি ভাই, উনি শুনলেন না…।’

এর উদ্দেশ্যটা কী, সে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে আগে তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হলো এবং তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলো। তার পর থেকে তিনি যাতে কোনোমতেই মুক্তি না পান, তা চলছে এখন পর্যন্ত।