উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলের নির্দেশ অমান্যকারী এসব নেতার তালিকা করছে দলটি। তবে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন বর্জনে কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও যাঁরা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাঁদের ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুবই বিরক্ত। কারণ, প্রথম ধাপের নির্বাচনে যাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীন ছিল দলটি। এ কারণে প্রথম ধাপের প্রার্থীদের ব্যাপারে দল কিছুটা সময় নিয়েছে, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাঁদের বুঝিয়ে নির্বাচন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত একযোগে ৭৩ জনসহ দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হওয়া ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরপরও দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের প্রার্থিতা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের উষ্মা রয়েছে। কথা বলে জানা গেছে, যাঁরা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাঁদের নামের তালিকা করতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তালিকা তৈরি শেষ হবে। এরপর শিগগিরই তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ২৮ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম। তিনি গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি।’
তবে পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলায় বিএনপির তিন নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব লাইলী বেগম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ। এর মধ্যে আদুল মান্নান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ও আরেক নেতা আসাদুল্লাহ এখন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।