কাউকে মুরব্বিয়ানা না করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি করে বিশিষ্টজনদের দেওয়া বিবৃতির প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ মুরুব্বিয়ানা করবেন না। যারা মানবাধিকারের ধুয়া তোলে, আমাদের দেশে মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী যারা মাঝেমধ্যে বিবৃতি দেয়, দেখলাম যে তারা মির্জা ফখরুল সাহেবের মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছে। তারা কেমন বুদ্ধিজীবী যে এই আগুন–সন্ত্রাস, এই পুলিশ হত্যা, আমাদের নারী কর্মীদের হেনস্তা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা, হাসপাতালে হামলা—এগুলোর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন না! বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি করে নিশ্চুপ আছেন, নাকি সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, সেটিই প্রশ্ন।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আল–কায়েদা স্টাইলে গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন বলে অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আল–কায়েদা বা আইএস নেতারা যেভাবে গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করত, এখন রিজভী সাহেবও সে রকম গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করাই হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়ার ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, হামলা পরিচালনা করছে, অনেকে দাবি তুলেছে পুলিশ কেন দেখামাত্র তাদের গুলি করে না। আজকে দাবি উঠছে প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। যত দিন এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, তত দিন গ্রেপ্তার অভিযানও চলবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ সময় বলেন, ‘২৮ অক্টোবর কিছু করতে না পেরে এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। আমি শ্রমিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানাব, আপনারা নিজের প্রতিষ্ঠান যেটিতে কাজ করেন, সেটিতে হামলা বা ভাঙচুর করা মানে, নিজের গায়ে আঘাত দেওয়া। তাই কারও প্ররোচনায় আপনারা প্ররোচিত হবেন না। যারা প্ররোচনা দিয়ে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বাইরে থেকে গিয়ে হামলা করছে, তাদের চিহ্নিত করুন এবং আইনের হাতে তুলে দেন।’