১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের ‘ডামি’ নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। জনগণের এই ভোট বর্জন ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ডাকা ‘হরতাল ও গণ-কারফিউ’র সমর্থনে আজ রোববার দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকায় ১২-দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে শাহাদাত হোসেন সেলিম এসব কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরেকটি কলঙ্কজনক দিন। এই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। ক্ষমতাসীনেরা মনে করে, দেশের মানচিত্র জাহান্নামে যাক, অর্থনীতি জাহান্নামে যাক, গণতন্ত্র জাহান্নামে যাক, তাতে তাদের কিছু আসে-যায় না। তবে এই ভুয়া ভোটের মধ্য দিয়ে দেশ অর্থনৈতিক সংকটে পা দিল। এই প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হবে।
১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা যতটুকু দেখছেন, যতটুকু খবর পাচ্ছেন, ভোটদানের হার খুবই নগণ্য। কিন্তু সন্ধ্যার সময় হয়তো ভোটের হার বৃদ্ধি করে বিজয়ীদের নাম নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা হবে। নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন তা-ই পাঠ করে শোনাবে।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, জনগণ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যাননি। তাঁরা এ সরকারের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন।
১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মুখের ওপর সমুচিত জবাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
কেরানীগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের
১২-দলীয় জোটের অন্য নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাননি। দেশের মানুষ এ সরকারকে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই জনগণের নীরব ‘ভোট প্রত্যাখ্যান’ জাতির বিজয়।
১২-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা আজ জাতীয় প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তাঁরা বক্তব্য দেন।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।