দেশের এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাওয়া উপেক্ষা করে সরকার প্রহসনের নির্বাচন করার জেদ করছে বলে অভিযোগ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের জেদ অব্যাহত রাখলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ ‘দালাল’দের কেউই জনরোষ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পাবে না।
সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে দলটি। সেখানেই সোলায়মান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
জাতীয় অর্থনীতি এখন ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত উল্লেখ করে এবি পার্টির এই আহ্বায়ক আরও বলেন, ব্যাংকগুলোর আমানত ও দেশের রিজার্ভ লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। তবু সরকারের কোনো বিকার নেই। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে সরকার এখন গার্মেন্ট শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ যখন অভাবের তাড়নায় দিগ্বিদিক হয়ে দিশেহারা, তখন সরকার খেল-তামাশার নির্বাচন নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাব বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধানের কার্যক্রম দেখে এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের যেভাবে সাজা দেওয়া হচ্ছে, তাতে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বেসামাল হয়ে দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে ভয়ংকর খেলায় মেতেছে।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেন, যখন দেশের ঘরে ঘরে অভাব, মানুষ যখন নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত—তখন ঢোল-তবলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাস দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা আরও তীব্র হচ্ছে।
‘অযোগ্য ও বিতর্কিত’ লোকদের দেশের শিক্ষা পাঠ্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি এই সরকার করেছে, এটা লাখো-কোটি মানুষকে খুন করার শামিল।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন দলের যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্যসচিব আবদুল বাসেত, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, মেহেদি হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আলী নাসের খান, আবদুল হালিম, সুলতানা রাজিয়া ও সেলিম খান প্রমুখ।