কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে হামলার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। একই সঙ্গে দলটি এ ঘটনায় রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে দলের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা এ দাবি জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার কৃষক সমাবেশে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় জামায়াতে ইসলামী হামলা চালায়। হামলায় আহত হন দলের ন্যায়পাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক এবং শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান উকিল রায়হান কবীর, প্রধান অতিথি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় সংগঠক সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, যে সময় দেশের প্রয়োজন ছিল গণঐক্য নিশ্চিত করে সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া, সে সময় পরিকল্পিতভাবে প্রশাসন ও পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের এ হামলা ভিন্ন বার্তা দেয়। নিশ্চিতভাবে পরিচয় জানার পরও শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী রায়হান কবীরের ওপর হামলা ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী।
হাসনাত কাইয়ুম আরও বলেন, যেসব দাবিতে ওই সমাবেশ, হামলার মাধ্যমে কৃষকদের সেসব ন্যায্য দাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে জামায়াত, পুলিশ ও প্রশাসন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক মুক্তাঞ্চল রৌমারীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে যে সমাবেশ, সেখানে হামলা জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১৯৭১ সালের যে অবস্থান, তারই ধারাবাহিকতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আহমেদ ইসহাক, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সোহেল শিকদার, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।