সরকারের গঠিত কমিশন দিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার তদন্ত কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন ঘিরে চালানো হত্যাকাণ্ড আড়াল করতে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা কথাগুলো বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের উপযুক্ত তদন্ত ও বিচার করতে হবে। তদন্ত ও বিচারের নামে কোনো ধরনের ‘তামাশা’ জনগণ মেনে নেবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, শেখ রফিকুল ইসলাম ও হাসনাত কাইয়ূম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে সরকার দাবি করেছে, র্যাব সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেননি। কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বিজিবি কিছু ফাঁকা গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল। তা-ও একজনমাত্র, সবাই মিলে গুলি করেননি। এসব ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পররাষ্ট্রসচিব কূটনীতিকদের বলেছেন, আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদের ৯ দফা দাবির প্রতি আবারও পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অধীন আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তাঁরা। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এর বাইরে তদন্তের নামে কোনো ধরনের প্রহসন দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।